সোমবার; ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪; ৮ পৌষ ১৪৩১

বিআইজেএফের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ছবি- সংগৃহীত

বিআইজেএফের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

-ইনফোটেক ইনসাইট রিপোর্ট

Published : ১১:৫৬, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় দ্বিতীয়বার নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন, কল্যাণ তহবিল কমিটি গঠন ও আগামী ডিসেম্বরে ভোটের মাধ্যমে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে ২০২২-২০২৪ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি।

সভায় জানানো হয়, দ্রুত নির্বাচন কমিশন গঠন ও কমিশনকে সহায়তায় নির্বাহী কমিটি থেকে কমিটি গঠন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর কাওরান বাজারের ভিশন-২০২১ টাওয়ারের সম্মেলন কেন্দ্রে বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি ভূঁইয়া মোহাম্মাদ ইনাম লেনিন।

বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে সদস্যদের উদ্দেশে সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান বলেন, কোষাধ্যক্ষের পদকে সক্রিয়, কার্যকর ও দৃশ্যমান করার মাধ্যমে সাধারণ সদস্যদের কাছে আর্থিক স্বচ্ছ্বতার বিষয়টি সুস্পষ্ট করার সঙ্গে নিয়মিত কার্যক্রম সম্পাদনে সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়ন, ইন্ডাস্ট্রির ইনক্লুশনে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি সচেষ্ট ছিল। নির্বাহী কমিটির নিয়মিত মাসিক সভা, বৈঠকের সিদ্ধান্ত নথিভুক্ত, আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছ্বতা, সদস্যপদ প্রদানে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণসহ সাংগঠনিক কার্যক্রমকে অংশগ্রহণমূলক করা হয়েছে।

সাব্বিন হাসান উল্লেখ করেন, প্রথমবার দেশে ই-বর্জ্য দিবস পালন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন ও পরিবর্তন-বিষয়ক সংসদীয় আয়োজনে অংশীজন হয়ে মত প্রকাশের মতো জাতীয় ইস্যুতে অংশগ্রহণ, সমস্যায় সহযোগী হয়ে সদস্যদের জন্য প্রতিবাদ, বন্যার্তদের পাশে দাড়াঁনো ছাড়াও সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নে নেওয়া প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দেশে প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

সাধারণ সদস্যদের উদ্দেশে (জুলাই-২০২৩ থেকে জুন-২০২৪) অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর করেন কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম শান্ত। বর্তমান কমিটি আর্থিক লেনদেনে শতকরা ৯০ ভাগ কার্যক্রম ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদন করা, সব ধরনের হিসাব-নিকাশ যথাযথ প্রক্রিয়ায় লিপিবদ্ধ করা ও আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রমাণাদি সংরক্ষিত আছে বলে কোষাধ্যক্ষ অবহিত করেন।

সদস্যদের কণ্ঠভোটে উত্থাপিত আর্থিক প্রতিবেদন, কল্যাণ তহিবল কমিটি ও নিরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের নাম সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

সভাপতি নাজনীন নাহার বলেন, ২০২২ সালে শতভাগ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর মূল লক্ষ্য ছিল স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণতান্ত্রিক চর্চা ও সদস্যদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করা। সদস্য কল্যাণে কাজ করা। দুই বছরে চেষ্টা করেছি আর্থিক বিষয়কে যথাযথ নিয়মতান্ত্রিক ও সাংবিধানিকভাবে পরিচালনা করার। সদস্যপদ প্রদান থেকে শুরু করে  সব সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে সংবিধানকে ও কার্যনির্বাহী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছি। সব বিষয়ে সদস্যদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সাংগঠনিক ফেসবুক পেজ ছিল নিয়ন্ত্রণমুক্ত। জবাবদিহি নিশ্চিতে দুবছরে দুটি বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। সব উদ্যোগে সদস্যদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

সভাপতি বলেন, সদস্যদের আন্তরিক সহযোগিতায় ২১ বছরের সংগঠনের প্রথমবার কল্যাণ তহবিল গঠন করেছি। কমিটি চেষ্টা করেছে সাংগঠনিকভাবে গণতান্ত্রিক চর্চাকে সক্রিয় রাখতে। প্রত্যাশা করছি, আগামীতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। নির্বাহী কমিটির প্রতিটি পদ ও সদস্যকে সক্রিয় ও কার্যকর করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য।

এমএএইচ

শেয়ার করুনঃ