.png)

মোবাইল অপারেটররা ভয়েস ওভার ওয়াই-ফাই চালু করতে চায়
Published : ১৫:১৭, ২৪ মার্চ ২০২৫
বাসা-বাড়িতে, অফিসে বা উঁচু ভবনে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধানে দেশে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো ভয়েস ওভার ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি চালুর কথা ভাবছে। এতে সহযোগিতা করবে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা (আইএসপি)। বাসা-বাড়ি বা অফিসে ব্যবহৃত ওয়াইফ-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মোবাইল ফোনে কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। ফলে নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধানে ইন বিল্ডিং সলিউশন্স সিম্টেম ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না।
তবে তার আগে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির অনুমোদন লাগবে। গত ৯ মার্চ রাজধানীর প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছিলেন, আমরা এমএনও-গুলোর (মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর) মাধ্যমে ভয়েস ওভার ওয়াই-ফাই চালু করে দেব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, আমরা তো চালু করতে চাই। বিটিআরসিকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। নেটওয়ার্ক সমস্যার দারুণ এক উপায় হবে এটা।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে জানতে হবে আমাদের কোনও লাভ হবে কিনা। আমাদের কোনও লাভ না হলে আমরা যাবো না।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে তিনি কথা প্রসঙ্গে বলেন, ভয়েস ওভার ওয়াই-ফাই (ভিও-ওয়াই ফাই) হয়তো আমরা চালু করে দেব। আমরা এটার পক্ষে। কিন্তু তার আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কিছু কাজ আছে। নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে এতোদিন আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জের নাম ছিল ইনডোর নেওয়ার্ক। ইন বিল্ডিং সলিউশন সিস্টেম দিয়ে সে সমস্যার সমাধান করা হতো কোথাও কোথাও। এটা বড় একটা চ্যালেঞ্জের নাম। এটার সমাধান হবে। ঘরের ভেতরে নেটওয়ার্ক না থাকলে আইএসপিগুলোর ওয়াই-ফাই সেখানে ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করবে। ওই সময় মোবাইল ফোনগুলো আশেপাশের যে টাওয়ারের সাথে যুক্ত থাকতো সেগুলো ফ্রি হয়ে যাবে। ফলে নেটওয়ার্কের ওপর চাপ কমবে। অপর পক্ষে ঘরের ভেতরে মোবাইল ব্যবহারের সময় তাদের (আইএসপির) ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃত থাকছে।
সেটা আইএসপিগুলো কিভাবে দেখবে, কত চার্জ করবে, এসব বিষয় নিয়ে এখন আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের আইনে বা নীতিমালায় যা নেই তা আমরা দিতে পারি না। তবে আইটিইউয়ের (ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন) নীতিমালা আছে সেখানে যদি এসব সেবা দেওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে তাহলে তা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। কারণ আইটিইউকে তো মানতে হবে।
এমএএইচ