১২ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পেল পাঠাও

দেশের কনজিউমার টেকনোলজি কোম্পানি পাঠাও ফিনটেকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১২ মিলিয়ন ডলারের প্রি-সিরিজ বি রাউন্ড রেইজ করেছে। এই বিনিয়োগের ফলে আজ পর্যন্ত পাঠাও-এর মোট ফান্ড রেইজ ৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি, যা বাংলাদেশের প্রি-সিরিজ বি স্টার্টআপগুলোর মধ্যে সর্বাধিক।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পাঠাও থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই রাউন্ডের নেতৃত্ব দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক ভেঞ্চারসুক যারা মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্ল্যাটফর্ম বিনিয়োগ করে এসেছে। এছাড়া অ্যাঙ্কারলেস বাংলাদেশ, ওসাইরিস গ্রুপ, সাউথ এশিয়া টেক, ওপেনস্পেস ভেঞ্চারসসহ আরও বিনিয়োগকারীরা এই রাউন্ডে যোগ হয়েছে। পাঠাওয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ বলেন, পাঠাও শুধু একটি ব্র্যান্ড নয়, এটি একটি লাইফস্টাইল। এটি যেমন শহরের পরিবহন, লজিস্টিকস এবং গিগ ইকোনোমি পুরোপুরি বদলে দিয়েছে, সেভাবেই আমাদের ফিনটেক উদ্যোগ বাংলাদেশের আর্থিক দৃশ্যপটকেও নতুন করে গড়ে তুলবে।

নতুন ফান্ড পাঠাওয়ের ফিনটেক সেবাগুলোকে আরও বড় করতে, প্রযুক্তি উন্নত করতে এবং বাজারে আরও বিস্তৃত হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফাহিম আহমেদ আরও বলেন, আমাদের প্রধান গ্রাহক হলো বাংলাদেশের ডিজিটাল যুগের তরুণরা। প্রচলিত ব্যাংকগুলো তাদের জন্য যথেষ্ট নয়, আর অন্যান্য ডিজিটাল ওয়ালেটগুলো মূলত আনব্যাংকড গ্রাহকদের দিকে লক্ষ্য রাখছে। আমরা তরুণ পেশাজীবী এবং প্রযুক্তি-ভিত্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশেষ আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই। পাঠাওয়ের ফিনটেক সেবাগুলো ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৫০ লাখের বেশি তরুণ পেশাজীবী এবং ৫ লাখের বেশি প্রযুক্তিভিত্তিক ছোট ব্যবসার জন্য ব্যক্তিগত আর্থিক সমাধান সরবরাহ করতে ডিজাইন করা হয়েছে।

২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাও ১ কোটিরও বেশি গ্রাহককে সেবা দিয়েছে এবং বাংলাদেশের গিগ অর্থনীতি ও ছোট ব্যবসায়ে ৫ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।