সোমবার; ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪; ৮ পৌষ ১৪৩১

স্টার্টআপকে বড় করার সাতটি উপায়

স্টার্টআপকে বড় করার সাতটি উপায়

-ইনফোটেক ইনসাইট ডেস্ক

Published : ১৪:০২, ৩০ জুলাই ২০২৪

স্টার্টআপ থেকে ইউনিকর্নে পরিণত হওয়া স্বপ্নের মতো একটি বিষয়। স্বপ্ন হলেও অনেকেই তাকে বাস্তবে পরিণত করেছে। ইউনিকর্ন হলো এমন এক ধরনের প্রতিষ্ঠান যা স্টার্টআপ থেকে শুরু হয়ে পরবর্তীতে কমপক্ষে এক বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলে তাকে ইউনিকর্ন বলে। এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভালো উদাহরণ হলো স্পেসএক্সটিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সরিভলুট ইত্যাদি।

বলা হয়ে থাকে উদ্যোক্তা হওয়া মানেই ঝুঁকি হাতে নেওয়া। উদ্যোক্তা হওয়া যতোটা না কঠিন সেটাকে পরিচালিত করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তার চেয়েও বেশি কঠিন। অনেকে অনেক পরিকল্পনা করেও শুরু করতে পারে না আবার শুরু করার পরেও ভেঙ্গে যায় অনেকের প্রতিষ্ঠান। হিসেবে দেখা গেছে শতকরা মাত্র ১০ ভাগ উদ্যোক্তা হওয়ার পরে সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারে। আর তার মধ্যে ইউনিকর্ন বা বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার হার তো একেবারেই কম।

স্টার্টআপকে বড় করতে সাতটি ধাপ রয়েছে

১. আইডিয়া স্টেজ

এটি হলো পরিকল্পনার স্তর। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইডিয়াকে যতোটা সম্ভব নতুন এবং সৃষ্টিশীল করে তোলা। আইডিয়াতে ভিন্নতা থাকতে হবে যেন তা সবাইকে আকর্ষণ করে। খেয়াল রাখতে হবে অদূর ভবিষ্যতে সেটা যেন ব্যাকডেটেড হয়ে না যায়। বিজনেস মডেল ক্যানভাস ব্যবহার করে সেটাকে গতিশীল রাখতে পারলে ভালো।

২. ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি অ্যান্ড অ্যান্জেল স্টেজ

এটি বিনিয়োগের স্তর। ব্যবসার বিস্তার ঘটাতে গেলে সেখানে বিনিয়োগ করতে হয়। বিনিয়োগকারী পরিবারের কেউ বা বন্ধু থেকে শুরু করে যেকোনও শুভাকাঙ্খী কেউ হতে পারে। বিনিয়োগকারী তখনই বিনিয়োগ করবে যখন তাকে দেখানো যাবে এই ব্যবসাটি টেকসই হবে। দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক রয়েছে এমন ব্যক্তি থেকে বিনিয়োগ নেওয়া যেতে পারে যেন সে সহজেই বিশ্বাস করতে পারে।

৩. প্রি-সিড স্টার্টআপ স্টেজ

এই স্তরে উদ্যোক্তাকে তার স্টার্টআপকে গতিশীল রাখতে এবং সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে অতিরিক্ত বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। এই স্তরে একজন ব্যবসায়ী তার ব্যবসার কিছু বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত হয়ে ওঠে। যেমন তার পণ্য কি এমন কোনও পণ্য যা ভোক্তাদের আসলেই দরকার। যদি তা না হয় তাহলে সে তার পণ্যকে কিভাবে নতুন ভাবে সাজাবে বা যদি ভোক্তাদের প্রয়োজনীয় হয় তাহলে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কোনও ফিচার বাদ পড়ে যাচ্ছে কি না। এসব বিষয় নিশ্চিত করে তাকে ন্যূনতম টেকসই পণ্যে পরিণত করতে হবে।

৪. সিড স্টার্টআপ স্টেজ

এটাকে বলা হয় বীজ বপনের স্তর। ব্যবসায় তার স্টার্টআপ হলো একটি বীজের মতো যেটাকে বপন করলে একটি সুন্দর গাছের জন্ম দেবে। অর্থাৎ উদ্যোক্তা তার আইডিয়াকে কার্যে পরিণত করেছে। তার পণ্য ইতোমধ্যেই ব্যবসায় লাভ আনা শুরু করেছে। এই পর্যায়ে বিনিয়োগকারীরা ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে সেখানে বিনিয়োগ করে।

৫. আর্লি স্টার্টআপ স্টেজ

এই পর্যায়ে স্টার্টআপ এখন এক ধরনের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন নিশ্চিত কি ধরনের বিজনেস মডেল তার জন্য কার্যকর। এই পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান ভালো লাভ করে। প্রতিষ্ঠানটির কাস্টমার আছে এবং নতুনদের আকৃষ্টও করতে পারে। এখন প্রতিষ্ঠানটির দরকার বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে একটি মানে উঠিয়ে আনা। এই সময় নতুন বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে প্রতিষ্ঠানটিকে বোঝাতে হবে যে তার প্রতিষ্ঠান স্থিতিশীল একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান।

৬. গ্রোথ স্টেজ

এই স্তরে প্রতিষ্ঠান বেশ সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উদ্যোক্তাদের সতর্ক হতে হবে সে তার পরবর্তী ফান্ডকে (বিনিয়োগকারী এবং ব্যাংক লোন) কিভাবে নিরাপদ করবে। এসময় ব্যাংক বেশ কিছু সুবিধা দিয়ে থাকে। অনেক কম সুদে ঋণ দিয়ে থাকে। এটি ব্যবসাকে বিস্তার করার সময়।

৭, এক্সিট স্টেজ

এখন ব্যবসাটির একাধিক অফিস রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন দেশেও তা থাকতে পারে। ব্যবসার পণ্য এবং সেবা এখন একটি নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। বাজারে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান বেশ ভালো। এখন প্রতিষ্ঠানটির ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা আইপিও করার সময়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি এখন জনসাধারণের কাছ থেকে ফান্ড সংগ্রহ করবে। আইপিওর মাধ্যমে অনেক দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পাওয়া সুবিধা হয়।

এমএএইচ

শেয়ার করুনঃ