রাসেলস ভাইপার নিয়ে সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
Published : ১৭:২৭, ২৬ জুন ২০২৪
চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ সরব। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন এলাকা থেকে সাপটি পাওয়ার সংবাদ আসছে। বিষধর এই সাপটি নিয়ে জনমনে বেশ আতঙ্কও সৃষ্টি হয়েছে। তবে অনলাইনে প্রচারিত সংবাদগুলোর অনেকগুলোরই কোনও বাস্তবভিত্তি নেই, অনেক ক্ষেত্রেই গুজব ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
‘ভোলায় তজুমদ্দিনে খেলার মাঠে রাসেলস ভাইপার পিটিয়ে মারলো এলাকাবাসী’ শিরোনামে ফেসবুকে একটি ফটোকার্ড প্রকাশ করা হয়। পরে ফেসবুকেরই একটি ফ্যাক্টচেক গ্রুপের মাধ্যমে জানা যায় প্রচারিত ছবিটি আসলে রাসেলস ভাইপারের নয়, এটি অল্প বিষধর নোনাবোড়া বা জলবোড়া সাপের ছবি।
রাসেলস ভাইপারের কামড়ে যশোর বা সিরাজগঞ্জে শিশু মৃত্যুর একটি ঘটনা অনলাইনে প্রকাশ হয়। ঘটনাটি সেই এলাকার এমনকি সাম্প্রতিক সময়েরও নয়। ঘটনাটি মূলত কক্সবাজারে ২০২২ সালে সাপের আক্রমণে মারা যাওয়া একটি শিশুর ছবি ব্যবহার করে ভুল দাবি প্রচার করা হয়।
চাঁদপুর জেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে ৯ বছরের এক শিশু খেলার সময় রাসেলস ভাইপার সাপের ছোবল খেয়ে মারা গেছে। এমন একটি তথ্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঘটনাটি গত এপ্রিলে হবিগঞ্জে সাপের কামড়ে একটি শিশু মৃত্যুর ঘটনার ছবি ব্যবহার করে তথ্যটি প্রচার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলায় রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিষয়টি নিয়ে অনেকেই এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এরইমধ্যে সাপ না চিনে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক হবে বলেই অনেকে মন্তব্য করেন। গণমাধ্যমে সঠিক সাপের ছবি ও তা চেনার উপায় প্রচার করা উচিত বলে তারা জানান।
সাপ নিয়ে ভয় দূর করতে সাপটাকে চেনা জরুরি বলে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা। চিনতে হবে সাপটি দেখতে কেমন। যেমন, রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়ার গায়ের চাকা গোল চিহ্নগুলো আলাদা। অজগরের চাকা গোল চিহ্নগুলো নেটের মতো। একটার সঙ্গে আরেকটা লাগানো।
এমএএইচ