সোমবার; ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪; ৮ পৌষ ১৪৩১

লাইসেন্স ফিরে পেতে চায় সিটিসেল ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

লাইসেন্স ফিরে পেতে চায় সিটিসেল

-ইনফোটেক ইনসাইট রিপোর্ট

Published : ১৬:০০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বন্ধ হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন সিটিসেল লাইসেন্স ফিরে পেতে চায়। এরইমধ্যে অপারেটরটি তাদের বাতিল হওয়া লাইসেন্স ফিরে পেতে চেয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।

গত ১ সেপ্টেম্বর বিটিআরসিতে চিঠি পাঠিয়েছে সিটিসেলের মালিক পক্ষ প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রথমে তাদের তরঙ্গ (স্পেক্ট্রাম) স্থগিত করা হয়। পরে লাইসেন্স বাতিল করা হয়। যদিও বিটিআরসি সে সময়  জানিয়েছিল, ২১৮ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।

চিঠিতে আরও জানানো হয়, স্পেক্ট্রাম বন্ধ করায় গত ৮ বছরে ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বকেয়া বেতন, অবকাঠামোর ক্ষয়-ক্ষতি, সব মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে সিটিসেলের। ৮ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। এর ফলে সরকারও বিশাল অংকের রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

সিটিসেল এখন লাইসেন্স বাতিলের জন্য জারি করা পত্রের প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স চায় যাতে ৫জিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে সিটিসেলের সংযোগ সেবা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। তরঙ্গ ও নবায়ন করা তরঙ্গের (স্পেক্ট্রাম) বরাদ্দও বাতিল করা হয়। ছিল ২জি লাইসেন্স, সেটিও বাতিল করা হয় সিটিসেলের। ১৯৮৯ সালে সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) বাংলাদেশ টেলিকম (প্রা.) লিমিটেডের অনুকূলে মোবাইল অপারেটরটির লাইসেন্স ইস্যু করে। পরবর্তী সময়ে এর নাম রাখা হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, যা সিটিসেল নামে পরিচিতি পায়।

এমএএইচ

শেয়ার করুনঃ