ফ্রিল্যান্সার হতে চান, সুযোগ আছে এই ৭ বিষয়ে
Published : ১৪:৩৯, ২৫ জুন ২০২৪
উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং এখন সারাবিশ্বেই বেশ জনপ্রিয়। দিনদিন বড় হচ্ছে এর বাজার। নির্দিষ্ট অফিস টাইম না থাকায় অনেকেরই পছন্দ এখন ফ্রিল্যান্সিং। বড় হওয়ার পাশাপাশি প্রতিযোগিতাও বাড়ছে এই বাজারে। তাই এই বাজারে সফল হতে হলে নিজেকে বিশেষভাবে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
আজকে বিশেষ কয়েকটি দক্ষতা নিয়ে আলোচনা করা হলো যা ফ্রিল্যান্সিংয়ের জগতে স্থান করে নিতে সাহায্য করবে।
১. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্র অনেক ব্যাপক। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে রয়েছে জাভাস্ক্রিপ্ট, এইচটিএমএল, সিএসস ইত্যাদি ফ্রেমওয়ার্ক। এসব বিষয়ে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কোর্স থেকে শুরু করে অনলাইনেও অনেক কোর্স পাওয়া যায়। অনলাইনে অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে যেখানে বিনামূল্যে ভালো গাইডলাইন দেওয়া থাকে। ধারাবাহিকভাবে সেগুলো সম্পন্ন করলে নিজেকে দক্ষ ভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। যেকোনও ব্যবাসরই অনলাইনে নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অত্যন্ত জরুরি। তাই এর চাহিদাও নিয়মিত বাড়ছে।
২. গ্রাফিক ডিজাইন
বিজ্ঞাপনের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো গ্রাফিকস ডিজাইন। ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান যেকোনও ব্যবসাকেই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হলে গ্রাফিকস ডিজাইন লাগবে। এরমধ্যে লোগো, ছবি, পোস্টার ইত্যাদি এসবের কাজ বেশি হয়। আবার একটা ওয়েবসাইটও কিভাবে উপস্থাপন করলে সুন্দর দেখাবে সেটাও গ্রাফিক ডিজাইন থেকে পরামর্শ নেওয়া হয়। গ্রাফিক ডিজাইনের ক্ষেত্রে সৃজনশীল চিন্তার বিষয় আছে। এমন কাজে আগ্রহ থাকলে এ বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তুললে প্রচুর কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৩. ভিডিও কনটেন্ট তৈরি
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ভিডিও কনটেন্ট বেশ কার্যকর এবং গুরুত্বপূর্ণও বলা যায়। ভিডিও শ্যুট বা শুধু সম্পাদনার দক্ষতা থাকলেও কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদে কাজে যেমন সুযোগ রয়েছে তেমন ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদের কাজও পাওয়া যায়। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে নিজের তৈরি কিছু ভিডিও পোস্ট করে নিয়োগদাতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। নিজে কিছু কাজ তৈরি করে একটি পোর্টফোলিও থাকলে ভালো হয়।
৪. কনটেন্ট রাইটিং
যেকোনও ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটেই ভালোমানের লেখার (কনটেন্ট) দরকার। ব্লগ, রিভিউ, আর্টিকেল, প্যামফ্লেট, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি এমন ধরনের লেখার আগ্রহ থাকলে এই পেশাটি বেছে নেওয়া যেতে পারে। ডিজিটার মার্কেটিংয়ে এ ধরনের লেখার বেশ কদর রয়েছে। সঠিক কি-ওয়ার্ড এবং এসইও অপটিমাইজেশন করতে পারলে কনটেন্টটি অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়। আর কনটেন্ট ভালো হলে তা সহজেই ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাই এক্ষেত্রে সম্ভাবনা বেশ ভালো।
৫. কাস্টমার সার্ভিস
স্থায়ী যেকোনও ব্যবসায় কাস্টমার সার্ভিস বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যবসাকে একটি মর্যাদায় স্থান দেয়। সেইসঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী ক্রেতাদের ধরে রাখতে বা নতুন ক্রেতা তৈরিতেও কাস্টমার সার্ভিস বেশ কার্যকর। ব্যবসায় কাস্টমার সার্ভিস অপশন থাকলে ক্রেতাদের খুব ভালো আস্থা পাওয়া যায়। ক্রেতারাও ব্যবসার পরিষেবাটিকে ভালোভাবে পেতে পারে। এমন মনমানসিকতা এবং যোগাযোগের স্কিল যদি ভালো হয় তাহলে এটিও একটি ভালো পেশা। এক্ষেত্রে অনলাইনে স্থায়ী চাকরিও পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের পরিসর একটু বড় হলেই কাস্টমার সার্ভিস এজেন্ট নিয়োগ দিতে হয়। এজেন্টকে কোনও অফিস না করে বরং অনলাইনের মাধ্যমে অংশ নিয়েই এই পেশায় কাজ করা যায়।
৬. ডাটা এন্ট্রি
এই পেশাকে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ মনে করা হলেও এই কাজে দক্ষতা থাকলে ভালো কাজ পাওয়া যায়। ডাটা এন্ট্রির কাজে অন্যতম দক্ষতা হলো ধৈর্য আর মনোযোগ। যতো দক্ষ হওয়া যায় ততোই নির্ভুলভাবে করা যায় ডাটা এন্ট্রির কাজ। অনেকে ডাটা এন্ট্রি দিয়েও ফ্রিল্যান্স জগতে যাত্রা শুরু করে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে অন্য কোনও বিশেষ দক্ষতা না থাকলেও ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্স জগতে ক্যারিয়ার শুরু করা যেতে পারে।
৭. এসইও
অনলাইন ক্ষেত্র যতোই বড় হচ্ছে ততোই বাড়ছে এতে প্রতিযোগিতা। আর এই প্রতিযোগিতার বাজারে কোনও একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে সামনে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন সঠিক উপায়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা সংক্ষেপে এসইও। পারফেক্ট কি-ওয়ার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে যেকোনও পণ্য বা সেবাকে অন্যান্যদের চেয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে ক্রেতার সামনে উপস্থাপন করা যায়। সঠিক এসইও পারে একটি ব্যবসাকে উপরে তুলে দিতে। মূলত ওয়েবসাইটে বেশি ক্লিক, বেশি ভিজিটই হচ্ছে এসইও'র উদ্দেশ্য। এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য অনেক কোর্স রয়েছে অনলাইনে। এর বাজার বেশ ভালো।
এমএএইচ