নাটোরের সিংড়ায় ক্যাশলেস পশুরহাট
Published : ১২:২২, ১৩ জুন ২০২৪
‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, স্মার্ট হচ্ছে বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বসেছে কোরবানির পশুর হাট। গরু কেনাবেচার টাকা লেনদেন হচ্ছে দেশের অন্যতম সেরা মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় ক্যাশলেস এই হাটের উদ্যোক্তা ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। করোনা মহামারির সময় থেকে সিংড়ায় নিয়মিতভাবে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ক্যাশলেস কোরবানির পশুর হাট।
এই হাটের একমাত্র ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা নগদের মাধ্যমে দেশের সর্বনিম্ন খরচে ক্যাশআউট সুবিধা উপভোগ করছেন। বিশেষ করে প্রতিবছরের পশুর হাটে পকেটমার, মলমটপার্টিসহ নানান দৌরাত্ম্য থেকে রেহাই পাচ্ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ চালু হওয়ায় খুব সহজেই মুঠোফোন থেকে লেনদেনের সুযোগ তৈরি হয়েছে সিংড়াবাসীর জন্য। এছাড়া দূরদুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা পশু বিক্রি শেষে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারছেন নগদের মাধ্যমে ক্যাশলেস লেনদেন করে।
কোরবানির পশুর হাটের এমন উদ্যোগের বিষয়ে নগদের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সিহাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমরা প্রতিবছর কোরবানির সময় সারাদেশের বিভিন্ন হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের লেনদেন করার নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মাধ্যম হিসেবে সেবা দিয়ে থাকি। এছাড়া অন্যান্য সেবা তো থাকেই।
কোরবানির পশুর হাটে আগত যাদের নগদ অ্যাকাউন্ট নেই, ডিজিটাল পেমেন্ট বুথে বসে মাত্র কয়েক মিনিটে নগদ অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধাও দিচ্ছে নগদ।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় দূরদূরান্ত থেকে এই হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা করতে আসেন সাধারণ মানুষ। নিরাপদ ক্যাশলেস লেনদেনের সুযোগ থাকায় বেশ জনপ্রিয় এই হাটটি। এর আগে এমন সুবিধা কখনও পায়নি চলনবিলের বাসিন্দারা, নগদের মাধ্যমে এখন সেই সুবিধা উপভোগ করছে সিংড়ার মানুষেরা। ঢাকা-চট্টগ্রমসহ দেশের বড় শহরগুলোতে ক্যাশলেস লেনদেন করে কোরবানির পশু কেনার সুযোগ থাকলেও সিংড়া এলাকায় এই সুবিধা মিলেছে নগদের কারণে।
এমএএইচ